ঢাকানাম-২
															আমি মাঝে মধ্যে মানুষ দেখতে বের হই আশেপাশে কত কিসিমের মানুষ। রঙের মানুষ সব ঢাকা শহরেই। জাদুর শহরে লাল নীল হলুদ মানুষ সব। এই যে আমি ঢাকার দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে লিখছি। এটা আসলে দর্শনীয় স্থান না হয়ে মানুষ হওয়া উচিত ছিল। ঢাকার এই শত কিসিমের মানুষের জন্যই আজকের ঢাকা।
ঢাকার সব মানুষের হৃদয় পাথুরে না। এই শহর কত মানুষের স্বপ্ন পূরণ করে আবার কত মানুষ’কে ভেঙেচুরে দেয়। তবু মানুষ ঢাকায় আসে। আমার কাছে ঢাকা মানে ছোট ছোট সুখ ঢাকা মানে ভেঙ্গে যাওয়া বুক।
গত লেখায় পুরান ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকা নিয়ে লিখেছিলাম। আজ নতুন ঢাকা নিয়ে লিখবো। আপনি ঢাকার যেই অঞ্চলেই থাকেন সকাল টা শুরু করতে পারেন ধানমন্ডি লেক দিয়ে। ঢাকার যে অংশেই থাকেন ভোরের আলো দেখার জন্য এই লেকটি উওম জায়গা । ধানমন্ডি বত্রিশ, ঝিগাতলা কিংবা সাইন্সল্যাব দিয়ে ঢুকতে পারেন ধানমন্ডি লেকে।
যেখানে আজ জলে প্রতিফলিত হয় আকাশের রঙ। সেখানে একদিন ছিল এক সরু খাল—ঢাকার প্রাচীন শরীরজুড়ে প্রবাহমান এক নিঃশব্দ ধারা। সময় গড়াতে গড়াতে সেই খালই হয়ে উঠেছে শহরের হৃদয়—ধানমন্ডি লেক (এই লেকের একটা অংশের আরও একটি মনোমুগ্ধকর নাম আছে সেটা হলো রবীন্দ্র সরোবর)।
১৯৫০-এর দশকে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার পরিকল্পনার সময় প্রাকৃতিক এই জলধারাকে ঘিরেই তৈরি করা হয় বর্তমানের লেক। যাতে শহরের পানি নিষ্কাশনের পাশাপাশি নাগরিকদের জন্য এক টুকরো প্রশান্তির জায়গাও হয়। কালক্রমে এটি শুধু পানি ধারণের জায়গা নয়, হয়ে ওঠে নগরের সংস্কৃতি, বিনোদন ও সংস্কৃতির এক মিলনস্থল।
লেকের ধারে দাঁড়ালেই মন যেন আবেশে ভরে ওঠে। প্রভাতের হালকা রোদের সঙ্গে কুয়াশার মিষ্টি ছোঁয়া মিলে যখন লেকের জলে আলোর সোনালি রেখা আঁকে। তখন মনে হয়—জল নীরবে কথা বলছে। বাতাসে দুলে ওঠে কড়ই, কৃষ্ণচূড়া। পাখি ডাকে তাল মিলিয়ে, আর চারপাশে নীরব হয়ে শোনা যায় প্রকৃতির নৃত্য। পাতাঝরা পথ ধরে হেঁটে গেলে, মনে হয় সময় কিছুক্ষণ থেমে আছে। জীবন একটু ধীরে বয়ে যাচ্ছে। লেকের পাশেই শেখের বাড়ি ছিল। শেখ বলতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এবং সেই বাড়িটা ছিল একটা জাদুঘর । যেখানে চুপটি করে কান পাতলেই শোনা যেত মহাকালের ধ্বনি। যা ২০২৪ শে এটাকে গুড়িয়ে দেওয়া হয়!!
একটানা হাঁটার পথ পেরিয়ে চলে আসা যায় রবীন্দ্র সরোবরে—সেখানে খোলা মঞ্চে প্রতিদিন গানের সুর, কবিতার ছন্দ বা নাটকের সংলাপে প্রাণ পায় এই লেক। এখানে দুপুরের কোলাহলে যেমন মানুষ মিশে যায় গল্পে। তেমনি সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে জেগে ওঠে এক ধরণের নির্জনতা। পাশে বসার জায়গাগুলোয় চোখে পড়ে কেউ বই পড়ছে, কেউ চুপচাপ তাকিয়ে আছে জলে, আবার কেউ প্রাণ খুলে হাসছে প্রিয়জনের সঙ্গে। লেকের শান্ত জলের মতোই যেন তাদের সম্পর্কগুলোও গভীর।
আরেকটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়ে কফিশপ, ক্যাফে আর খাবারের গন্ধে ভোঁভোঁ করা এক আধুনিক জীবনচিত্র। যেখানে বসে এক কাপ কফির সাথে মানুষ খুঁজে পায় গল্প, সম্পর্ক আর সময়কে একটু ধীর করে উপভোগ করার সুযোগ। ধানমন্ডি লেক তাই কেবল একটি লেক নয়, এটি শহরের ভিতরে আরেকটি শহর—যেখানে মানুষ খুঁজে পায় মুক্তি, প্রশান্তি আর নিজের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ।
ধানমন্ডি লেক থেকে বের হয়ে আমাদের গন্তব্য মোহাম্মদপুর সাত গম্বুজ মসজিদ। ধানমন্ডি সাতাশ থেকে যেতে পারেন মোহাম্মদপুরে কাটাসুর থেকে শিয়া মসজিদের দিকে একটা রাস্তা চলে গেছে বাঁশবাড়ী হয়ে। এই রাস্তাতে যাওয়ার পথে পড়ে সাত গম্বুজ মসজিদ। কিংবা রিকশায় যেতে পারেন।
মুঘল আমলে নির্মিত একটি মসজিদ। এই মসজিদটি চারটি মিনারসহ সাতটি গম্বুজের কারনে মসজিদের নাম হয়েছে ‘সাতগম্বুজ মসজিদ’। এটি মোঘল আমলের অন্যতম নিদর্শন। ১৬৮০ সালে মোগল সুবাদার শায়েস্তা খাঁর আমলে তার পুত্র উমিদ খাঁ মসজিদটি নির্মান করান। মসজিদটি লালবাগ দূর্গ মসজিদ এবং খাজা আম্বর মসজিদ এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
মসজিদের পূর্বপাশে এরই অবিচ্ছেদ্য অংশে হয়ে রয়েছে একটি সমাধি। কথিত আছে, এটি শায়েস্তা খাঁর মেয়ের সমাধি। সমাধিটি ‘বিবির মাজার’ বলেও খ্যাত। মসজিদের সামনে একটি বড় উদ্যানও রয়েছে। একসময় মসজিদের পাশ দিয়ে বয়ে যেত বুড়িগঙ্গা। মসজিদের ঘাটেই ভিড়ানো হতো লঞ্চ ও নৌকা। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় তা কল্পনা করাও কষ্টকর। বড় দালানকোঠায় ভরে উঠেছে মসজিদের চারপাশ। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর দেখাশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
এই মসজিদ থেকে কাছেই তাজমহল রোড পরের গন্তব্য সেখনেই শিয়া জামে মসজিদে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত জায়গায় শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানদের যৌথ উদ্যোগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত। মাওলানা সৈয়দ গুলশান আলী কিবলা এবং সৈয়দ এজাজ হুসাইনী জাফরী ১৯৭০ সালে হুসাইনী ট্রাস্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মসজিদটি কয়েক বছর পরে ১৯৭৬ সালে স্থাপিত হয়েছে।
তাজমহল রোড থেকে রিকসা নিয়ে যেতে পারেন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজারে।
এখানেই দাঁড়িয়ে আছে একটি স্তব্ধ ও শোকাবহ স্মৃতিচিহ্ন—শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের—শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলীসহ বহু বুদ্ধিজীবীকে। তাদের অনেকের নিথর দেহ ফেলে রাখা হয় রায়েরবাজারের পরিত্যক্ত ইটভাটার পাশে। সেই রক্তাক্ত মাটিতেই গড়ে উঠেছে এ স্মৃতিসৌধ।
১৯৯৯ সালে উদ্বোধন হওয়া এই সৌধটি স্থাপত্যশিল্পে গভীর শোক ও প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিশাল পাথরের দেয়াল, ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীরের প্রতিকৃতি ও জলাধারের নীরবতা—সব মিলিয়ে স্মৃতিসৌধটি যেন অতীতের কান্না ও আত্মত্যাগের প্রতিধ্বনি তোলে। প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এখানে সমবেত হয় জাতি, শ্রদ্ধা জানাতে তাদের যাঁরা একটি স্বাধীন দেশের বুদ্ধিমত্তার মশাল হাতে ধরে রেখেছিলেন।
এই সৌধ শুধু ইতিহাস নয়, এটি ভবিষ্যতের শিক্ষা—কোনো জাতির চেতনা কিভাবে হত্যা করা যায় এবং কিভাবে সেই চেতনাই আবার প্রতিরোধ হয়ে জেগে ওঠে।
স্মৃতিসৌধ থেকে বের হয়ে বাসে কিংবা রিকসায় যেতে পারেন সংসদ ভবনের সামনে। এই এলাকায় দীর্ঘ সময় নিয়ে যাওয়া উচিৎ সংসদ ভবনের আশেপাশে অনেকগুলো দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক জায়গা আছে।
ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন শুধু একটি প্রশাসনিক ভবন নয়। এটি আমাদের স্বাধীনতার পরিপূর্ণতা ও জাতিসত্তার প্রতীক। বিশিষ্ট মার্কিন স্থপতি লুই আই কানের নকশায় নির্মিত এই ভবনটি আধুনিক স্থাপত্যকলার এক অনন্য নিদর্শন। যা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।
১৯৬১ সালে এই ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যা তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের নির্দেশনায় পূর্ব বাংলার জন্য প্রাদেশিক পরিষদ ভবন হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর এটি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ১৯৮২ সালে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।সংসদ ভবনের স্থাপত্যশৈলীতে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের ব্যবহার এবং জ্যামিতিক নকশার অসাধারণ সমন্বয় রয়েছে।
মূল ভবনটি বিশাল লেক দিয়ে পরিবেষ্টিত। যা ভবনের প্রতিচ্ছবি তৈরি করে এক অপূর্ব নান্দনিকতা এনে দেয়। বিশাল গম্বুজ, ত্রিভুজ ও বৃত্তাকৃতির জানালা, এবং সুচারু আলো প্রবেশের ব্যবস্থা এই ভবনকে নিছক একটি সরকারি স্থাপনার বাইরে নিয়ে গেছে।
শুধু স্থাপত্যই নয়, সংসদ ভবনের চারপাশের পরিবেশও প্রশান্তিময়। সবুজ ঘাস, শান্ত জলাধার আর মুক্ত আকাশ মিলিয়ে এটি যেন রাজধানীর বুকে এক নীরব সৌন্দর্যের মন্দির। এ ভবন ঘিরে যেমন রয়েছে আমাদের গণতান্ত্রিক ইতিহাস, তেমনি জড়িয়ে আছে ভবিষ্যতের স্বপ্নও।আজ জাতীয় সংসদ ভবন শুধু আইন প্রণয়নের কেন্দ্র নয়, বরং জাতীয় গৌরব, স্থাপত্যকলার নান্দনিকতা এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি।
সংসদ ভবনের পাশেই বিজয় সরণি তে নভোথিয়েটার ও সামরিক জাদুঘর দুটোতেই টিকিট কেটে ডুকতে হয়।
বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের বিজয় সরণিতে অবস্থিত একটি জাদুঘর।জাদুঘরটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীগুলোর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাফল্য সংক্রান্ত নিদর্শন ও বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রের সংগ্রহ নিয়ে জাদুঘরটি সজ্জিত।
সামরিক জাদুঘরের পাশেই নভোথিয়েটার, ঢাকা (পূর্বনাম: ভাসানী নভো থিয়েটার বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের বিজয় সরণি’তে অবস্থিত একটি স্থাপনা। এখানে নভোমন্ডল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এবং নভো মন্ডলের ধারণা পাওয়ার জন্য কৃত্রিম নভোমন্ডল তৈরি করা আছে। ৫.৪ একর জায়গায় স্থাপিত নভোথিয়েটারটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পরিচালনায় চলছে। সাপ্তাহিক বন্ধ বুধবার।নভোথিয়েটার থেকে বের হয়ে হাঁটা পথে চন্দ্রিমা উদ্যান বা জিয়া উদ্যান।
ঢাকার ব্যস্ত নগরজীবনের ফাঁকে এক চিলতে প্রশান্তির নাম চন্দ্রিমা উদ্যান। জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর-পশ্চিম পাশে অবস্থিত এই সবুজ উদ্যানটি শুধু প্রকৃতি প্রেমীদেরই নয়। ইতিহাস ও রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এক সময় এর নাম ছিল “জিয়া উদ্যান” — কারণ এখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
১৯৮১ সালে এক বিয়োগান্তক হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর মরদেহ এখানে সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে উদ্যানটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে একটি সবুজ আশ্রয়স্থল হিসেবে। মধ্যখানে রয়েছে জিয়ার মাজার — সাদা মার্বেলের তৈরি, নীরব শ্রদ্ধা জাগানো এক সৌধ, যার চারপাশে ছায়াঘেরা পথ আর নানান ফুলগাছ।
উদ্যানটির একপাশে বিস্তীর্ণ একটি লেক। যার উপর দিয়ে চলে গেছে একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু। এই সেতু পার হয়ে মূল উদ্যানে প্রবেশ করতে হয়। সেতুর নিচে শান্ত জলের ঢেউ আর উপরে পাখির ডানা ঝাপটা মিলে এক অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়। বিকেলের সোনালি আলোয় এই স্থান যেন রূপকথার মতোন হয়ে ওঠে।চন্দ্রিমা উদ্যান যেন একসাথে ইতিহাসের মৌন সাক্ষী। প্রকৃতির কোলে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা, আর নগরজীবনের হেঁটে চলার এক মুক্ত প্রান্তর। এখানে এলে এক ধরণের প্রশান্তি ঘিরে ধরে — হোক সেটা ইতিহাসের আবেশে, না হয় শুধু প্রকৃতির নিঃশব্দ কথোপকথনে।উদ্যানের পাশেই চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র।
বাংলাদেশ চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, যা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র নামেও পরিচিত। যা হলো ঢাকার শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁও-এ অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র। ২০০১ সালে সম্মেলন কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয় এবং এটির নকশা করেছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারাল ডিজাইন্স অ্যান্ড রিসার্চ। এটি মূলত বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ।
চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র থেকেই কাছেই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন।একই এলাকায় একটু এগিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনি জাদুঘর।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর যেন আকাশযুদ্ধের গর্বিত ইতিহাসকে ধারণ করে এক নীরব অথচ বর্ণিল জগৎ। ২০১৪ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়া।
প্রবেশ করেই চোখে পড়ে বাস্তব আকারের যুদ্ধবিমান—মিগ-২১, এফ-৬, হেলিকপ্টার, রাডার সিস্টেমসহ নানা যুদ্ধাস্ত্র। ভিতরের গ্যালারিতে আছে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিরল ছবি, “অপারেশন কিলো ফ্লাইট”-এর সাহসিকতা, পাইলটদের ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও ঐতিহাসিক তথ্যচিত্র।
শুধু সামরিক দর্শন নয়, এখানে রয়েছে সবুজ ছায়া ঘেরা পথ, খোলা প্রাঙ্গণ আর শিশুদের খেলাধুলার সুযোগ—পরিবার নিয়ে কাটানোর জন্য এক প্রশান্তিপূর্ণ জায়গা।
বিমান বাহিনি জাদুঘর থেকে হাঁটা কিংবা রিকসা পথে আগারগাঁও এ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধ-ভিত্তিক একটি জাদুঘর। এটি বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এটি ঢাকার এফ-১১/এ-বি, সিভিক সেক্টর, আগারগাঁওয়ে অবস্থিত। বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই জাদুঘরের উদ্বোধন হয় ১৯৯৬ সালের ২২ শে মার্চ। মুক্তিযুদ্ধের অনেক দুর্লভ বস্তু আছে এই জাদুঘরে।
১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ ঢাকার সেগুনবাগিচায় একটি পুরনো ভবন ভাড়া নিয়ে যাত্রা শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে গড়া এই জাদুঘর ইতিহাসের স্মারক সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের এক ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা, যা শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের আন্তরিক সহায়তায় ধন্য হয়েছে। বর্তমানে এর সংগ্রহে রয়েছে ১৫,০০০-এরও বেশি মুক্তিযুদ্ধ–সংশ্লিষ্ট স্মারক।
প্রথমে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হওয়ায় স্থান সংকট দেখা দিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আগারগাঁওয়ে ০.৮২ একর জমি বরাদ্দ দেয়। ২০০৯ সালে স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতা এবং ২০১১ সালের ৪ মে শেখ হাসিনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর, ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবন।
জাদুঘর থেকে হাঁটা পথ শ্যামলি শিশু মেলা। ঢাকার ব্যস্ত নগরজীবনের মাঝে একখণ্ড আনন্দভূমি হয়ে উঠেছে শ্যামলি শিশু মেলা। এটি মূলত একটি শিশু-কেন্দ্রিক বিনোদন কেন্দ্র, যেখানে শিশুরা খেলাধুলা, মজার রাইড আর নানা ধরনের আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
শিশু মেলা থেকে বের হয়ে আমাদের পরের যাত্রা জাতীয় চিড়িয়াখানা।শ্যামলী থেকে চিড়িয়াখানা গামী যে কোন বাসে উঠতে পারেন কিংবা সি এনজি বা প্রাইভেট যে কোন গাড়িতে উঠে চিড়িয়াখানা সামনে নামতে পারেন। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে নির্দিষ্ট দামে টিকিট কেটে ঢুকে যেতে পারেন চিড়িয়াখানায় সপ্তাহে রবিবার বন্ধ।
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন ও শিক্ষা কেন্দ্র। ১৯৭৪ সালের ২৩ জুন প্রায় ৭৫ একর জায়গা নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই চিড়িয়াখানাটি প্রাণিবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য গড়ে তোলা হয়। এখানে রয়েছে ১৬০টিরও বেশি প্রজাতির প্রায় ২,০০০ প্রাণী। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, হাতি, ভালুক, জিরাফ, কুমির, হরিণ, উট, চিতা, বানরসহ আছে অসংখ্য পাখি ও সরীসৃপ। অনেক শিশু প্রথমবারের মতো এসব প্রাণীকে দেখতে পেয়ে আনন্দে অভিভূত হয়ে পড়ে।
চিড়িয়াখানার ভেতরটা যেন সবুজ এক বাগান। ছায়াঘেরা গাছপালা, জলাধার, ছোট ছোট টিলা আর খোলা মাঠে ঘুরে বেড়ানো হরিণ—সব মিলিয়ে এটি একটি শান্ত প্রকৃতির আস্তানা। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এসে মানুষ এখানেই খুঁজে পায় নিরবতা আর প্রাণের সান্নিধ্য। জাতীয় চিড়িয়াখানা শুধু বিনোদনের নয়, শিক্ষারও ক্ষেত্র। প্রাণীদের স্বভাব, আবাস ও পরিবেশ নিয়ে জানার একটি জীবন্ত পাঠশালা। পরিবারসহ একটি সুন্দর দিন কাটানোর জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক আদর্শ গন্তব্য।
চিড়িয়াখানার পাশেই বোটানিক্যাল গার্ডেন। ঢাকার ব্যস্ত নগরজীবনের মাঝে যদি কেউ প্রকৃতির কোলে একটু নিঃশ্বাস নিতে চায়, তবে মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান অর্থাৎ ঢাকা বোটানিক্যাল গার্ডেন হতে পারে তার সেরা ঠিকানা। ১৯৬১ সালে গঠিত এই বিশাল উদ্যানটি প্রায় ২৭০ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে প্রায় ১২০০ প্রজাতির দেশি ও বিদেশি উদ্ভিদ, যার মধ্যে রয়েছে ঔষধি গাছ, বিরল ফুল, ফলদ বৃক্ষ ও বহু বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতি।
এখানে প্রবেশ করলেই যেন আরেক জগতে চলে যাওয়া। চারপাশে সুউচ্চ গাছের ছায়া, বাতাসে পাতার মৃদু শব্দ, আর দূরে কোথাও পাখির গান। দীর্ঘ সরু রাস্তা পেরিয়ে হঠাৎ দেখা মেলে সবুজ ঘাসে মোড়া খোলা মাঠ, বাঁশবাগান, জলাশয় আর লতাগুল্মে ঢাকা ছোট টানেলের মত, ঝিলের পানি রৌদ্রছায়ায় চকচক করে। আর তার ধারে পাখিরা জলকেলি করে, কেউ কেউ ডাল থেকে ডালে লাফিয়ে বেড়ায়।
বর্ষাকালে যখন সবুজ আরও গাঢ় হয়। তখন বৃষ্টিভেজা পাতার গন্ধে ভরে ওঠে মন। বসন্তে ফোটে অসংখ্য রঙিন ফুল পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, বকুল কিংবা অপরাজিতা;আবার গ্রীষ্মে আম, জাম আর কাঁঠালের গন্ধ এসে মিশে যায় বাতাসে। এই বাগানে দাঁড়ালে মনে হয়, প্রকৃতি যেন নিঃশব্দে আমাদের সঙ্গে কথা বলছে। শুধু বিনোদনের জন্যই নয়, এটি উদ্ভিদ গবেষণারও এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। শিক্ষার্থী, গবেষক, প্রকৃতিপ্রেমী ও ফটোগ্রাফার সবাই এখানে খুঁজে পায় নিজেদের মতো করে কিছু সময়। ঢাকা বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রকৃতির সেই নিরব ক্যানভাস, যেখানে প্রতিটি গাছ, ফুল ও পাতা নিজের মতো করে গল্প বলে।
বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে রিকসা পথ পল্লবী মেট্রোরেল স্টেশন নামতে পারেন। মেট্রো দিয়ে শহরের যে কোন দিকে যেতে পারেন। হাতে সময় থাকলে মেট্রো’তে উত্তরা দিয়া বাড়ি ঘুরে আসতে পারেন। এছাড়াও মিরপুর-১ এ শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে ঘুরে আসতে পারেন সেখানে আমাদের গর্ব দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ ঘুমিয়ে আছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের সমাধি ও বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সমাধি আছে।
ঢাকার উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের একেবারে শেষ প্রান্তে অবস্থিত দিয়াবাড়ি—যেখানে শহরের ব্যস্ততা থেমে গিয়ে প্রকৃতি একটু ধীরে হাঁটে। মূলত এটি একটি খোলা জায়গা যা এখন বিখ্যাত টুরিস্ট স্পট হিসেবে, বিশেষ করে তরুণদের কাছে। এখানে রয়েছে খোলা মাঠ, জলাভূমি নদীর উপর ব্রিজ।
দিয়াবাড়ির বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে এখানকার হাওড়ের মতো বিস্তৃত জলাশয় ও খোলা প্রান্তর। যেখানে শীতকালে দেখা মেলে অতিথি পাখির। গ্রীষ্মে ছেলেমেয়েরা দল বেঁধে ঘুরতে আসে। এটি এক প্রিয় জায়গা, কারণ সূর্যাস্তের সময় দিগন্তরেখা বরাবর আলো ও ছায়ার খেলা এক অন্যান্য দৃশ্য। দিয়াবাড়ি যেন একদিকে শহরের আধুনিকতার ছোঁয়া আর অন্যদিকে প্রকৃতির সহজ সৌন্দর্যের সমন্বয়। যারা ঢাকার ভেতরে একটুখানি খোলা আকাশ, বাতাস আর সবুজের সন্ধান করছেন। তাদের জন্য দিয়াবাড়ি হতে পারে ছোট্ট এক মুক্তি।
কিংবা মেট্রোরেল করে কাওরান বাজার নেমে সেখান থেকে রিকসা কিংবা হাঁটা পথে হাতিরঝিল প্রকল্পে যেতে পারেন। ঢাকার ব্যস্ত, কংক্রিটে মোড়া জীবনের মাঝে হঠাৎ যদি কেউ একটু প্রশান্তির বাতাস পেতে চায়। তবে হাতিরঝিল তার নিঃশর্ত আশ্রয় হতে পারে। শহরের মাঝখানে বিস্তৃত এই জলাধার যেন একটি শ্বাস নেওয়ার মতো ফুসফুস। যেখানে জল, বাতাস আর আকাশ মিলেমিশে এক হয়ে গেছে।
হাতিরঝিলের সৌন্দর্য শুরু হয় ভোর থেকেই। সূর্য ওঠার আগে চারদিকে ছায়াময় শান্ত পরিবেশ, পানির ওপর ধোঁয়াসুলভ কুয়াশা, আর পাখিরা দল বেঁধে উড়ে বেড়ায়। মনে হয় শহর যেন ঘুমের ভেতরে স্বপ্ন দেখছে। দিন গড়ানোর সাথে সাথে মানুষ আসে হাঁটতে, সাইকেল চালাতে কিংবা কেবল জলের ধারে কিছুটা সময় বসে থাকতে। পানির উপর দিয়ে ঘুরে যাওয়া বাঁকানো ব্রিজগুলো আর রাত্রির আলোয় জ্বলে ওঠা রঙিন লাইট সব মিলে হাতিরঝিল এক রূপকথার মতো জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর আলো-ছায়ার খেলা, ল্যাম্পপোস্টের নীচে পড়ে থাকা নরম আলো, আর হালকা বাতাসে কেঁপে ওঠা পানির ঢেউ সবই যেন চুপিচুপি বলে, “এই শহরের মাঝে এখনো কিছু শান্তি বাকি আছে।”
বর্ষায় পানি আরও ভরে ওঠে, চারপাশে সবুজ হয়ে ওঠে তাজা, আর বৃষ্টির ফোঁটা পানির গায়ে লেগে তৈরি করে নকশার মতো ছন্দ। শীতে সূর্যাস্তের সময় আকাশের লালচে আভা পড়ে পানির গায়ে, আর প্রিয়জনের পাশে বসে থাকা মানুষগুলো যেন এই মুহূর্তকে ধরে রাখতে চায় চিরদিনের জন্য। হাতিরঝিল শুধু একটি প্রকল্প নয় এটি ঢাকার মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক প্রকৃতির স্পর্শ। যেখানে কংক্রিটের ভিড়েও এখনো জেগে আছে জল, বাতাস আর কিছুটা নীরবতা।
হাতির ঝিল থেকে ওয়টার বাস দিয়ে গুলশান বনানীর দিকে কিংবা কাওরান বাজার এসে মেট্রো কিংবা বাসে ঢাকার যে কোন জায়গায় যেতে পারেন।
এছাড়াও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এর ভেতর বেশ কয়টা বড় বড় শপিং মল, মিরপুরে জল্লাদখান বধ্যভূমি তে যেতে পারেন সবগুলো জায়গা একদিনে ঘুরা সম্ভব নয় হাতে সময় নিয়ে ঘুরা উচিৎ ঢাকার এই ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানগুলো।
এছাড়াও ঢাকা জেলার ভেতর বেশ কিছু স্থাপনা আছে সেগুলোতে যাওয়া উচিৎ। হাতে সময় নিয়ে সাভারে যেতে পারেন একদিন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। এটি নির্মিত হয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া লাখো বীরের স্মরণে। স্থপতি মাইনুল হোসেনের নকশায় ১৯৮২ সালে নির্মাণ সম্পন্ন হয়। সাতটি ত্রিভুজ স্তম্ভ দিয়ে তৈরি এই সৌধ বাংলাদেশের সাতটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের প্রতীক। যার চূড়ান্ত রূপ ছিল স্বাধীনতা অর্জন।
স্মৃতিসৌধ শুধু ইতিহাস নয়, এটি প্রকৃতির মাঝে এক নিঃশব্দ স্মরণ। চারপাশে সবুজ ঘাস, পরিষ্কার পুকুর, ছায়াঘেরা গাছপালা ও লাল-সাদা ইটের পথ — সব মিলিয়ে এটি দর্শনার্থীর মনে এনে দেয় গভীর শ্রদ্ধা ও গর্বের অনুভব। সূর্যাস্তের সময় সৌধের ছায়া যখন জলরাশিতে পড়ে, তখন মনে হয়, শহীদদের আত্মা যেন নিঃশব্দে কথা বলছে। প্রতি বছর বিভিন্ন দিবসে হাজারো মানুষ এখানে এসে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। স্মৃতিসৌধ নতুন প্রজন্মকে শেখায় আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম ও ইতিহাসকে মনে রাখার শিক্ষা। এটি কেবল একটি সৌধ নয়, একটি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতীক, যেখানে নীরবতা হয়ে ওঠে কণ্ঠস্বর।
স্মৃতিসৌধ এর পাশেই জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়৷ সবুজে ঘেরা ও বড় জলাশয়ের কারনে শীতে অতিথি পাখিদের অভয়ারণ্য হয়ে থাকে পুরো ক্যাম্পাসে। চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। এছাড়াও নবাবগঞ্জে মৈনট ঘাট,বিরুলিয়ার জমিদার বাড়ি ঘুরতে পারেন।
ঢাকায় দেশের যে কোন জেলা থেকে ঢুকতে হলে মহাখালী, কল্যানপুর,গাবতলী, সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল দিয়ে ডুকতে পারেন এছাড়া ট্রেনে কমলাপুর কিংবা এয়ারপোর্ট আর লঞ্চে সদরঘাট আসতে পারেন প্রতিটা টার্মিনালের সামনে থেকে লোকাল বাস আছে শহরের যে কোন গন্তব্যে যেতে পারেন। কয়েকটি বিভাগীয় শহর থেকে বিমানযোগে আসতে পারেন রাজধানীতে।
রাজধানী ঢাকার অনন্য রুপ ইতিহাস কিংবা দর্শনীয়
জায়গাগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবেই। জাদুর শহর আপনাকে টানবেই কয়দিন একটানা থেকে দেখেন এই শহর ছেড়ে যেতে পারবেন না।প্রতিনিয়ত অভিযোগ করেও এই শহরকে ফেলতে পারবেন না। ঢাকা দিন শেষে জাদুর শহর আপনকে জাদু দিয়েই আটকে রাখবে।
বিঃদ্রঃ ঘুরতে গিয়ে কোথাও ময়লা ফেলবেন না এবং স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করুন।
জুন ২০২৪
															














