সারাদিন টো টো করে ঘুরে ফিরছি উদ্দেশ্য বাসায় যেয়ে গোসল করে খাবো ক্ষুদা লাগছে খুব জোর। হঠাৎ পাড়ার মোড়ে দেখি বড়সড় একটা জটলা অনেক মানুষ মিলে একজনকে ঘিরে আছে, দূর থেকে ভাবলাম হয়তো চুরি করছে তাই সবাই মিলে বিচার করছে আগ্রহ নিয়ে গেলাম,চোর মারার ইচ্ছে অনেক দিনের কিন্তু যতবার চোর মারতে গেলাম অদৃশ্য কারনে হাত তুলতে পারি নি। যাই হোক গিয়ে যা দেখলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। একজন পপর্কন বিক্রেতা পপকর্ন ভাজছে মেশিনে হালকা তেল ব্রাশ করে তাতে কিছু ভুট্টা দিয়ে গ্যাসের চুলার নব ঘুরিয়ে দিচ্ছে কিছুক্ষণ পরই পপকর্ন ফুটতাছে ভুট্টা থেকে ফুটে গ্লাসের দেয়াল টুং করে পরে টাক করে শব্দ হয়তাছে, এই দৃশ্য সবাই চোখ বড় বড় করে খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছে।
পৃথিবীতে এইরকম দৃশ্য দেখে যে অবাক হওয়া যায় তা জানা ছিল না আমার, ভাবতাম পাহাড় পর্বত সাগর রকেট দেখেই শুধু অবাক হওয়া যায়! কত কিছু জানি না আফসোস করতে করতে চলে আসলাম। সেদিন একটা সাময়িকী পড়তে যেয়ে জানলাম কুকুরকে যদি মানুষ ” আমি তোমাকে ভালোবাসি” বলে তাহলে তাদের হার্টরেট বেড়ে যায় অনেক। কি আজব কথা আমরা যে কুকুর কে কুকুর ডাকি এই ডাক সে কি বুঝে নাকি এটা ভাবতে ভাবতে আমার সারাদিন চলে যেতো একসময়, বিজ্ঞান কত উন্নত হয়ে গেছে কত কি আবিস্কার করে ফেলছে।
মাছে ভাতে বাঙালি আমি এতোদিন মাছের স্বাদ না পেলে পাচকের দোষ দিতাম কিন্তু সেদিন দেখলাম কয়েকজন আবিস্কার করছে মাছ রান্নার আগে যখন মারা যায় তখন যদি তার মন খারাপ থাকে বা অসুস্থ থাকে তাহলে নাকি সে মাছের স্বাদ কম থাকে পাচকের কোন দোষ নেই। মাছের মন নিয়েও গবেষণা হয় প্রতিনিয়ত এইসব দেখে আমি অবাক হই।
বিজ্ঞান যেহেতু অনেক দূর এগিয়ে গেছে নিশ্চিয় তাহলে বাঙালির মন নিয়ে গবেষণা হয়েছে কিন্তু এট নিয়ে কোন তথ্য পাচ্ছি না। একটা নিউজ পোর্টালে একজন মানুষের মৃত্যুের খবর বেরিয়েছি সেই নিউজের কমেন্টসে একদল বলছে আলহামদুলিল্লাহ্ আরেকদল বলছে ইন্নালিল্লাহ আরেক দল বলছে মরছে তো কি হয়ছে! আরেকদল লোকটাকে বকা শুরু করছে অথচ লোকটা ব্যাক্তি জীবনে কেমন ছিল ভালো- মন্দ নাকি সে বিচার কারো নেই। একজন মানুষ মরেছে সে পাপী বা পুণ্যবান যাই হোক না কেন সে মানুষ! একজন মানুষের মৃত্যুতে আরেকজন মানুষের এমন উল্লাস কেন করছে এটা নিয়ে গবেষণার কোন তথ্য পাইলাম না আফসোস।
 সব বাঙালি পুরুষ নাকি একটা সময় কবিতা লেখার চেষ্টা করে প্রেমে পরলে কিংবা প্রেমে বীতশ্রদ্ধ হলে কিংবা সুখে দুঃখে জীবনের কোন না কোন সময় নাকি কবিতা লিখে আর যারা কবিতা লিখতে চায় তারা অবশ্যই সংবেদনশীল হয়, এই সংবেদনশীল মানুষদের মন নিয়ে গবেষণা হচ্ছে না বড়ই আফসোস।ভাস্কর চৌধুরীর একটা কবিতার কিছু লাইন প্রতিদিন মাথায় আসে “তুমি দুস্কৃতি মারো, গেরিলা-তামিল মারো এভাবে যেখানে যাকেই মারো না কেন ।ইতিহাস লিখবে যে এত মানুষ মরেছে বড়ই করুণ এবং বড়ই দুঃখজনক শক্তির স্বপ্নে তুমি যারই মৃত্যু উল্লেখ করে উল্লাস করনা কেন মনে রেখো মানুষই মরেছে”
 আজকাল নিউজ পোর্টাল গুলাতে মৃত্যুের খবরে নিচে যে উল্লাস হয় দেখে মনে হয় মানুষের মৃত্যু খুবই আনন্দময় ব্যাপার। মানুষকে মানুষ এতো ঘৃণা নিয়ে দেখতে পারে ভাবতেই দুঃখ হয়। আমার বন্ধু নিরঞ্জন কবিতার লাইনগুলো আমরা ভীষণ প্রিয়। “মানুষকে এত ক্ষুদ্রার্থে নেবেন না, মানুষ এত বড় যে, আপনি যদি ‘মানুষ’ শব্দটি একবার উচ্চারণ করেন যদি অন্তর থেকে করেন উচ্চারণ যদি বোঝেন এবং উচ্চারণ করেন ‘মানুষ’ তো আপনি কাঁদবেন। আমি মানুষের পক্ষে, মানুষের সঙ্গে এবং মানুষের জন্য।”
তাই সবসময় বলতে ইচ্ছে করে “মানুষ বড় একলা, তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও।” এভাবে যেখানে যাকেই মারো না কেন ইতিহাস লিখবে যে এত মানুষ মরেছে বড়ই করুণ এবং বড়ই দুঃখজনক শক্তির স্বপ্নে তুমি যারই মৃত্যু উল্লেখ করে উল্লাস করনা কেন মনে রেখো মানুষই মরেছে” আজকাল নিউজ পোর্টাল গুলাতে মৃত্যুের খবরে নিচে যে উল্লাস হয় দেখে মনে হয় মানুষের মৃত্যু খুবই আনন্দময় ব্যাপার। মানুষকে মানুষ এতো ঘৃণা নিয়ে দেখতে পারে ভাবতেই দুঃখ হয়।
 আমার বন্ধু নিরঞ্জন কবিতার লাইনগুলো আমরা ভীষণ প্রিয়। “মানুষকে এত ক্ষুদ্রার্থে নেবেন না, মানুষ এত বড় যে, আপনি যদি ‘মানুষ’ শব্দটি একবার উচ্চারণ করেন যদি অন্তর থেকে করেন উচ্চারণ যদি বোঝেন এবং উচ্চারণ করেন ‘মানুষ’ তো আপনি কাঁদবেন। আমি মানুষের পক্ষে, মানুষের সঙ্গে এবং মানুষের জন্যে।” তাই সবসময় বলতে ইচ্ছে করে “মানুষ বড় একলা, তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও।”